,


শিরোনাম:
«» ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায় এনবিআর সদস্য কায়কোবাদের প্রতিবাদ «» অনন্যা সাহা (স্বাতী) ৩২তম জন্মদিন। «» বৈষম্যবিরোধীদের ওপর অতর্কিত হামলা, আইসিইউতে ২ ছাত্রী «» হিন্দুদের সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল ইউনুসের সরকার, বলল… «» নতুন আঙ্গিকে আরো সু-পরিসরে ব্রাদার্স ফার্নিচার লি: এর শো-রুম এখন বরিশাল «» উদ্যোক্তা হাটের ২০২৪ এওয়ার্ড প্রদান «» উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল ইসলামের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন। «» ধর্মনিরপেক্ষতা খারিজের পক্ষে ইউনূস সরকার «» ভন্ডপীর সাঈদ আনোয়ার মোবারকী বাবুর বিরুদ্ধে মানববন্দন ও প্রতিবাদ সমাবেশ। «» গাইবান্ধায় ভুয়া প্রেসক্লাব খুলে কথিত সাংবাদিকরা হেনাস্তা করছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের

দুদকের ওয়েবসাইটের তথ্য চুরি ও ঘুষ নেওয়া চক্রের ৪সদস্য গ্রাফতার।      

দুদকের ওয়েবসাইটের তথ্য চুরি ও ঘুষ নেওয়া চক্রের ৪সদস্য গ্রাফতার।      
রির্পোটার
মোঃ ইসমাইল হোসেন 
 দুদকের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য চুরি করে নির্বাচিত প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের কাছ থেকে দুদকের নামে ঘুষ নেওয়া চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার ডিবি পুলিশ। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) ১১ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে ডিবি উত্তর এর সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইমের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার খোন্দকার নুরুন্নবী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শফিকুর রহমান (৩৯), সোহাগ পাটোয়ারী (৩৮), আব্দুল হাই সোহাগ (৩৮) ও মোঃ আজমীর হোসেন (৩৭)।
তিনি জানান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ  টিম  গত ১৪ আগস্ট যাত্রাবাড়ী, মুগদা ও এয়ারপোর্ট এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালায়। এ সময়  দুদকের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নামে অভিযোগ নিষ্পত্তির আশ্বাসে ঘুষ হিসেবে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের চারজনকে  গ্রেফার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থাকা প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত  ৭ টি মোবাইলফোন,  ১০টি সিম, বাংলা টিভি ৭১ ‘র কর্ডলেস মাউথ পিস, পত্রিকা, মানবাধিকার কমিশন ও  দুর্নীতি দমন কমিশনের ৭টি ভুয়া আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি, দুদক কর্তৃক বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের প্রতিবেদন ১২ টি এবং ৩ টি নোটবুক উদ্ধার করা হয়। যে নোটবুকগুলোতে বিভিন্ন ব্যক্তির ফোন নম্বর লেখা ছিল। তিনি আরও জানান, দুদকের নামে ঘুষ গ্রহণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম রমনা থানায় গত ১৩ তারিখে যে মামলার রুজু করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আসামি সেলিম @ তানভীর ইসলাম@ শফিকুর রহমান (৩৯)  এক সময় রড মিস্ত্রির কাজ করে পরবর্তীতে নির্মাণ কাজের ঠিকাদার ছিল। বর্তমানে দুদকের প্রধান কার্যালয়,  বিভিন্ন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের নামে বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারী, হিসাব রক্ষক, সার্ভেয়ারদেরকে মোবাইল ফোন/ ডযধঃ’ংঅঢ়ঢ় দিয়ে ঈধষষ করে টাকা হাতিয়ে নেয়া-ই তার কাজ।
আসামি সোহাগ পাটোয়ারী (৩৮) এক সময় ম্যানেজমেন্ট এবং ডিজে পার্টিতে কাজ করতো। সেই থেকে বিভিন্ন মেয়েছলে এবং দালালদের সাথে তার নানা রকম সখ্যতা গড়ে ওঠে। দুদকের ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তিদের নামে গঠন করা অভিযোগ, অভিযোগ থেকে দায় মুক্তি সংক্রান্ত চিঠি ডাউনলোড করে সে পাঠাতো প্রতারক সেলিমের কাছে। তাছাড়া টার্গেট করা প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তিদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ/ চিঠি বানিয়ে সে দিত সেলিমকে। সেলিম এভাবে প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মোবাইল নাম্বার গ্রেফতারকৃত প্রতারক আব্দুল হাই ও আজমির হোসেনকে দিয়ে সংগ্রহ করাতো। তারপরে দূদক’ র কমিশনার, মহাপরিচালক, পরিচালক ও উপপরিচালকদের নামে শুরু করে টাকা হাতিয়া নেয়ার নাটক।
প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ করতো বলে তারা ৮০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতো। এক্ষেত্রে তারা দুদক কার্যালয়ের সামনে অথবা সেগুনবাগিচাস্হ নাট্য মঞ্চ এলাকার আশপাশে টার্গেট ব্যক্তিদেরকে আসতে বলে ক্যাশ অথবা নগদ ফাইন্যান্সিয়াল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকাগুলো হাতিয়ে নিতো। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা (ঠরপঃরস) দের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে স্বীকার করেছে। মাদকাসক্ত এবং অসামাজিক কাজে অভ্যস্ত আসামিরা মুহূর্তেই টাকা খরচ করে নতুন প্রতারণায় হাত দিতো।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে, কোন ব্যক্তি হঠাৎ করে সম্পদশালী হলে তাদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে এবং মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে দুদক বরাবর ভূয়া অভিযোগ তৈরি করে, অভিযোগ বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে তাদের নিকট প্রেরন করে মোটা অংকের অর্থ দাবি ও আদায় করে ভূয়া তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করে তাদেরকে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে প্রেরণ করত।
Share Button
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ